শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান ও এস.এ টিভি’র সাংবাদিক আহসান সুমনসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে মানহানির অপরাধে বহুল আলোচিত-সমালোচিত সাবেক ইউপি সদস্য মো. শহীদুল্লাহ ওরফে শহীদুল্লাহ মেম্বারকে আটক করেছে পুলিশ।
কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রুজু করা একটি মামলায় তাকে আটকের পর আদালত হয়ে কারাগারে প্রেরন করা হয়।
স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এস.এ টিভি’র জেলা প্রতিনিধি ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব আহসান সুমন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ খাইরুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইতোপূর্বে রোববার রাতে আইন শৃংখলা বাহিনীর একটি দল শহীদুল্লাহ মেম্বারকে তার বাড়ি থেকে আটক করে। এসময তার ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপও জব্দ করে পুলিশ।
ধৃত মোঃ শহীদুল্লাহ (৫২) কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়ার সমিতি বাজার এলাকার মৃত মকতুল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ খাইরুজ্জামান আরো জানান, গত পহেলা মে এবং ২ মে মোঃ শহীদুল্লাহ তার নিজের ফেসবুক আইডি থেকে সাংবাদিক আহসান সুমন ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর কটাক্ষভাবে লাইভ ভিডিও প্রচার করেন বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়। এ ঘটনার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে মেয়র মুজিবুর রহমানের মানহানির প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠে।
একই লাইভে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও ইউএনওদের উদ্দেশ্য করে রাতারাতি ভোট চুরির মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি-নেতা বানিয়ে সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর মতো করে ত্রাণের চালও চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেন এই শহীদুল্লাহ।
ধৃত শহীদুল্লাহ মেম্বারকে পুলিশ পরিদর্শকের (ইন্সপেক্টর) মাধ্যমে আদালতে পাঠানোর হয়েছে বলে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ খাইরুজ্জামান জানান।
তার মতে, রোববার (৩ মে) রাতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মোঃ শহীদুল্লাহ ওরফে শহীদুল্লাহ মেম্বারকে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
সুত্র মতে, মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ওরফে শহীদুল্লাহ মেম্বার এমনিতেই নানা কারণে বিতর্কিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিদ্যুতের তার চুরিসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। এবং ওইসব মামলায় একাধিকবার হাজতবাসও করেছে। এছাড়াও ‘বাংলা পত্রিকা’ নামের একটি অখ্যাত অনলাইনের সাংবাদিকও পরিচয় দিচ্ছেন বেশ কিছুদিন ধরে।
এজাহার সুত্র জানায়, পহেলা মে ও ২ মে শহীদুল্লাহ মেম্বার তার ফেসবুক আইডি থেকে পূর্বে ঘোষনা দিয়ে দু’টি লাইভ করেন। ওই লাইভে তিনি কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, তার পরিবার, কয়েকজন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা, সাংবাদিক আহসান সুমন, মেয়র মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারি এবি ছিদ্দিক খোকন এবং রানাসহ প্রশাসনের বেশ কিছু লোকজনের বিরুদ্ধে কটুক্তিমূলক বিষোদগার করেন। শুধু তাই নয়, সুযোগ পেলে সবাইকে দেখে নেয়ারও হুমকি দেন বিতর্কিত এই শহীদুল্লাহ।
ভয়েস/আআ